পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে এবং প্রত্যেকটি ধর্মের অনুসারীদের নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে। এসব ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা উপলক্ষ্য সমূহে শুধু যে উক্ত ধর্মের অনুসারীরা অংশগ্রহন করে তা নয়; অন্য ধর্মের অনুসারীরাও অনেক সময় অংশগ্রহন করে থাকে তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কারনে অনেকে অংশগ্রহন হতে বিরত থাকে। ধর্মীয় গন্ডির বাইরে এ বিভক্তি লাঘবের জন্যই একটি দেশের জাতীয় সংস্কৃতির প্রয়োজন হয়ে পড়ে যাতে সেখানে দেশের সকল নাগরিক সমানভাবে অংশগ্রহন করতে পারে; নিজেদের সংস্কৃতি হিসেবে ভাবতে পারে।
পৃথিবীর কোন দেশের সংস্কৃতিই সৃষ্টির আদিতে তৈরী হয়নি বরং সময়ের সাথে সাথে সকল নাগরিকের অংশগ্রহনমূলক সংস্কৃতিগুলো, অনুষ্ঠান বা উপলক্ষ্গুলো জাতীয় সংস্কৃতিতে অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে; এ প্রক্রিয়া সবসময় চলমান; কখনো থেমে থাকবেনা। এভাবেই যেকোন জাতির সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে; পরিপূর্ণ হয়; জাতীয় ঐক্যের ধারক হয়ে উঠে, জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেম লালনের মাধ্যম হয়ে উঠে এবং সাংস্কৃতিক পরাধীনতা হতে জাতিকে রক্ষা করে।
বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিরই অংশ; অতএব, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই আমাদের সকল আয়োজন হওয়া উচিত যাতে আমরা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বিবাদ ভূলে গিয়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের আপনজনে পরিণত হতে পারি।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা
বিভাগীয় প্রধান
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়